ঝিনাইদহে জামায়াত নেতা হ*ত্যার আসামিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হ*ত্যা


চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেস প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ৫:৩৪ অপরাহ্ন /
ঝিনাইদহে জামায়াত নেতা হ*ত্যার আসামিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হ*ত্যা

এক্সপ্রেস ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার হত্যা মামলার আসামিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও দুই পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। স্থানীয়রা তাকে পুলিশের সোর্স দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ বলছে, কোটচাঁদপুরের জামায়াত নেতা এনামুল মাস্টার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের চাঁদপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কাওসার আলী (৫০)। তিনি ওই এলাকার লুৎফর লস্করের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, গেলো রাত ১২টার দিকে ১৫-২০ জন মুখোশ পরে বাড়িতে এসে জোর করে তাকে তুলে নেয়। পরে বাড়ির পাশের রেলগেটে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্য, কাওসার বিগত সরকারের আমলে পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করতেন।


কোটঁচাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, পরিবারের সহযোগিতায় আহত কওসারকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নসহ দুই পায়ের রগ কাটা ছিল। বাকিটা চিকিৎসকরা জানাতে পারবেন। কাওয়ার পুলিশের সোর্স ছিলেন স্থানীয়দের এমন দাবি অস্বীকার করে তিনি জানান, কাউসার আলি ২০১৪ সালে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়নের জামায়াত নেতা এনামুল হক মাস্টার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে বুধবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, কওসারের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছিল। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসা শুরুর আগেই তার মৃত্যু হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল বন্ধ গেট নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, রেল লাইনের পাশে জঙ্গলের কাছে পড়ে আছে রক্তমাখা বাঁশ। এর কয়েকগজ দূরেই রাস্তার উপরে আছে রক্ত ছড়ানো।
সেখানে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল লস্কর জানান, পাশের কোথাও তাকে কুপিয়ে এখানে ফেলে রেখে গেছে। আলামত দেখে এটাই মনে হচ্ছে। রাতে যখন ঘটনাস্থলে আসি তখন কওসার কথা বলছিল। হাসপাতালে নেয়ার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়। ওর দুই পায়ের রগ কাটা ছিল।